গদখালীতে খুশি চাষি
দেড়শ কোটি টাকার ফুল বিক্রি
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
২০-০২-২০২৫ ০৪:৫১:২০ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২০-০২-২০২৫ ০৪:৫৮:৩৭ অপরাহ্ন
ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি)। প্রতিবছর দিবসটি ঘিরে ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী-পানিসারার ফুলের বাজার চাঙা হয়ে ওঠে। এবার পুরো মৌসুমে অন্তত দেড়শ কোটি টাকার ফুল বিক্রি করেছেন চাষিরা।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বাজারে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধাঞ্জলিকে কেন্দ্র করে সবচেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে গাঁদা, গ্লাডিওলাস, রজনিগন্ধা, জিপসি ও কামিনী পাতা। ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফাল্গুনে ফুলের কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়ার পর একুশে ফেব্রুয়ারিতেও লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ফুল বিক্রি হওয়ায় খুশি চাষিরা।
জানা যায়, গ্লাডিওলাস ফুল ৮ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ৩০০ টাকা মূল্যের প্রতিহাজার গাঁদা ফুল বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১৩০০ টাকা দামে, জিপসি ও কামিনি পাতা প্রতিমুঠো ২০ টাকা, জারবেরা ৭-৮ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা ২ থেকে ৩ টাকা। তবে দাম নিম্নমুখী থাকায় হাসি নেই গোলাপ চাষিদের মুখে। চাষিদের দাবি তারপরও সারা বছরের হিসেবে বেশ লাভেই আছেন তারা।
ফুল চাষিরা জানান, ২১ ফেব্রুয়ারি বাজার ভালো যাওয়ায় আমরা খুশি। আজ গাঁদা ফুল প্রতিহাজারে সর্বোচ্চ ১৩০০ টাকায় বিক্রি করেছি। গত তিনদিন ধরে গাঁদা, গ্লাডিওলাসের দাম ভালো যাচ্ছে।
একজন চাষি বলেন, আমি ৮ কাঠা জমিতে গাঁদা ফুলের চাষ করেছি। উৎপাদন খরচ হয়েছে ৫ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে ৬০ হাজার টাকার ফুল বিক্রি করেছি। এ ছাড়া এক বিঘা জমিতে গোলাপ চাষ ছিলো। এ বছর কাঙ্খিত দাম না পেলেও খরচ উঠে লাভে আছি।
আরও একজন চাষি বলেন, এ বছর এক বিঘা জমিতে গ্লাডিওলাস চাষ করেছিলাম। শীতের মধ্যে হঠাৎ গরম পড়ায় প্রচুর ফুল ফুটেছে। যে কারণে শুরুতে এ ফুল পানির দরে বিক্রি করতে হয়েছে। তবে ২১ ফেব্রুয়ারির বাজারে দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। গত তিনদিন ধরে এ ফুল কালার ভেদে ৮ থেকে ১৫/১৬ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। আজও ৮ থেকে ১২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এর বাইরে জিপসি ফুল ও কামিনী পাতার ভালো দাম পেয়েছি। সারা বছরের হিসাব মিলালে লাভেই থাকবো।
গদখালী ফুল চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারির বাজারে চাহিদামত দাম পেয়েছেন ফুল চাষিরা। গত তিনদিন ধরেই বাজার চড়া। আশানুরূপ দাম পাওয়ায় চাষিরা খুশি। আমাদের উৎসব কেন্দ্রিক ফুল ব্যবসার মৌসুম শেষ হচ্ছে। গত ডিসেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত পুরো মৌসুমে অন্তত দেড়শ কোটি টাকার ফুল বিক্রি করেছেন চাষিরা। তবে এটা গত মৌসুমের তুলনায় কম। তারপরও চাষিরা লাভেই থাকবেন বলে আশা করছি।
জানা গেছে, ঝিকরগাছায় ১২০০ হেক্টর জমিতে ১১ প্রকারের ফুল বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়। উপজেলার ৬ হাজার পরিবারের লক্ষাধিক মানুষ ফুল চাষের সঙ্গে জড়িত। এ অঞ্চলে প্রতিবছর ৩৫০ কোটি টাকার ফুল উৎপাদন হয়।
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স